লেখক, গবেষক, উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ, প্রশাসক, পরিবেশবিদ ও অর্থনীতিবিদ আবুল মাল আবদুল মুহিত এই জানুয়ারিতে ৮৩-তে পদার্পণ করলেন । কৈশোরে ছাত্র সংগঠন এবং ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন এবং ১৯৫৫ সালে সলিমুল্লাহ ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি ও সর্বদলীয় কর্মপরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে কিছুদিন জেলে কালাতিপাত করেন। মেধায় শীর্ষ অবস্থানে আসীন কর্মজীবনের সূচনা করেন ।
পূর্ব-পাকিস্তান এবং কেন্দ্রীয় পাকিস্তান সরকারের প্রায় ১৩ বছর চাকুরি করে তিনি ওয়াশিংটন্নে*পাকিস্তান দূতাবাসে অর্থনৈতিক কাউন্সিলর হিসেবে নিযুক্তি পান ১৯৬৯ সালে । সেখান থেকে ‘৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে মার্কিন কূটনৈতিক, শিক্ষামহল ও সংবাদ মাধ্যমে তিনি ছিলেন একজন সৈনিক। ২৫ বছরের কর্মকর্তা, গভর্ণরের উপসচিব ও সচিবালয়ে উপসচিব, পাকিস্তানের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে উপসচিব, আমেরিকায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মিনিস্টার ও চার্জ-দ্য ত্যাফেয়ার্স, ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক, ম্যানিলায় এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকে নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব হিসেবে স্বেচ্ছা অবসরে যান ১৯৮১ সালে ।
১৯৮২ এবং ১৯৮৩ সালে তিনি বাংলাদেশে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী ছিলেন এবং 2০৮-এর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। প্রায় আড়াই দশক তিনি একজন উন্নয়ন-পরামর্শক হিসেবে বিরাজ করেন । এই সময় তিনি বাংলাদেশে পরিবেশ আন্দোলন গড়ে তোলেন প্রথমে “পরশ’-এর সভাপতি এবং পরে “বাপা’-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে । তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আযালামনাই এসোসিয়েশনেরও সভাপতি ছিলেন। ২০০১ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হন। ২০০৮ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হয়ে আবার নিয়েছেন অর্থমন্ত্রীর দায়িতু পরিবেশ, রাজনীতি এবং সুশাসন । ইংরেজি এবং বাংলায় প্রকাশিত তার বইয়ের সংখ্যা বিশ-এর উধ্রবে।
২০১৬ সালে তিনি সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান “স্বাধীনতা পুরস্কার’-এ ভূষিত হয়েছেন।